miércoles, 14 de octubre de 2015

Flavio Crescenzi; ফ্লাভিও ক্রেসেনসি

     Ensayo
Elogio del buen lector

El lector, aquella entidad fantasmagórica, a menudo idealizada, a menudo provocada o inquirida, ha sufrido una pérdida significativa de sus facultades decodificadoras. Me arriesgaría a situar los inicios de este fenómeno, si bien con antecedentes fácilmente detectables, en la posmodernidad, entendiendo por posmodernidad, al menos en lo concerniente a nuestros intereses, la era de la industria cultural o cultura de masas.
En la modernidad se esperaba de la figura del lector un compromiso que asegurara la dinámica de intercambio de sentidos que dimanaran del texto, es decir, que el lector finalizara el proyecto de obra participando intensamente en lo que a lo semántico respecta. Tratándose de poesía, esta relación se potenciaría debido a las características propias del discurso poético. Este es, en sí mismo, un discurso que transmite de sujeto a sujeto, no meras informaciones, sino, en mayor medida, una visión de mundo supeditada a patrones estéticos: nos alejamos del dominio de las transacciones intelectuales para aproximarnos al de la evocación o invocación, donde el lenguaje es ritual, arquetípico. El lenguaje poético es entonces el signo devenido en forma y  su expresión, la imagen y el ritmo. Ya en épocas en las que el lector se podía jactar de activo (en el sentido «cortazariano» del término) la poesía suponía un desafío muchísimo  mayor que el que deparaban otros géneros; en nuestros días, el lector de poesía es una especie en vías de extinción. 
                    
Seguramente las estadísticas sostendrán que, en la actualidad, hay más lectores que hace unos años y conjeturo que por falacias como estas se siguen abriendo librerías. Lo cierto es que lo que no existe, más allá de lo que digan las encuestas, es un lector crítico, lector que pueda discernir entre textos de calidad y otros destinados al consumo masivo. Sé que los mediadores que otrora se ocupaban de orientar al público lector han también mutado, dejando como único legitimador al mercado editorial que, como otros tantos mercados, tiene preocupaciones completamente diferentes a las que aquí tratamos. De hecho, es este mercado editorial el que ha instalado el concepto de fungibilidad (reflejado en las mesas de saldo que se renuevan cada vez que los grandes sellos editoriales se descartan de sus  materiales).
               
Ahora bien, ustedes dirán que este diagnóstico es por demás apocalíptico, aduciendo que los lectores se hacen y renacen constantemente y que pueden elegir pese a la evidente coerción mercantilista; pues me temo que no es así. La libertad de la que goza cualquier consumidor de bienes culturales es una simple ilusión, un simulacro, puesto que cualquier decisión que tome frente a los anaqueles será la realización de un estereotipo prefijado por el mercado, rector universal de la sociedad de masas.
          
Cabría preguntarse entonces qué es lo que busca el lector-masa al adquirir un determinado libro. De seguro no ya un goce estético, no ya la obtención de nuevos conocimientos. Junto a Adorno podemos decir que en el lector medio «en lugar de goce aparece el tomar parte y el estar al corriente; en lugar de la comprensión, el aumento del prestigio». Para concluir, agregaré que la lectura crítica que propugno no es sino parte de un perfil definitivo de hombre, hombre integral que ejercerá un pensamiento también crítico como acto último de libertad, en donde la poesía, lenguaje subversivo por antonomasia, oficiará sin lugar a dudas de garante.


   
  প্রবন্ধ
ভালো পাঠকের স্বীকৃতি

পাঠক, সে যে আবছায়া সত্তারই হোক না কেন, কখনো কল্পিত বা প্ররোচিত বা অনুসন্ধানী, তার সঙ্কেতমোচক ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। খুব সহজেই উত্তরাধুনিকতার নির্ধারণযোগ্য পটভূমিতে আমি এই ঘটমান বিষয়টির ওপর ঝুঁকিপূর্ণ আলোকপাত করছি।
উত্তরাধুনিকতা দিয়ে, অন্ততঃ আমাদের অনুসন্ধিৎসার বিষয় দিয়ে, এই সাংস্কৃতিক শিল্প ও গণ সংস্কৃতির যুগটাকে আমি বোঝার চেষ্টা করছি।

আধুনিকতায় আশা করা হতো পাঠকের অবয়ব হবে এক অঙ্গীকার যে পাঠ-নিঃসৃত জ্ঞান আদান-প্রদানের প্রগতিশীলতা নিশ্চিন্ত করবে। কথায় আছে, একটি খসড়াকে প্রকাশিতব্য লেখায় পরিবর্তিত করতে শাব্দার্থিক ক্ষেত্রে পাঠকই শেষ কথা বলবে। যেমন কবিতার ক্ষেত্রে
এই সম্বন্ধ আরও বিকশিত করা যায় কাব্যিক বক্তব্যের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য দিয়ে। এ নিজেই এক বক্তব্য যার অবাধ যাতয়াত বিষয়ান্তরে, নিছক তথ্যবাহক হিসেবে নয়, তাছাড়াও বিশ্ববীক্ষা বিষয়ে এক নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবেও: ইন্টেলেকচুয়াল আদান-প্রদানের সরণি থেকে আমরা দূরে সরে যাই, অভিগমন করি আহ্বান বা আবাহনের দিকে, যেখানে ভাষা হল শাস্ত্রীয় আচারপালন, বুনিয়াদ। কবিতার ভাষা তাই ছাঁচে ঢালা প্রজ্ঞান আর তার ব্যঞ্জনা, রূপক আর
ছন্দ। যুগ যুগ ধরে পাঠক আত্মশ্লাঘা অনুভব করতে পেরেছে এই ভেবে যে ( 'কোর্তাসারিয়ান' পরিভাষার অর্থে), কবিতা যুদ্ধে আহ্বানের স্পর্ধা দেখিয়েছে অসংখ্যবার যেখানে অন্যান্য ঘরানা আত্মসমর্পণ করেছে; আমাদের এই সময়ে কবিতার পাঠক এক বিপন্ন প্রজাতি।

পরিসংখ্যান নিশ্চিতভাবেই সমর্থন করবে যে, আজকাল কয়েক বছর আগের থেকেও বেশি পাঠক রয়েছেন এবং অনুমান করতে পারি, নিত্যনতুন পাঠাগার খোলা হচ্ছে বলেই এই ভ্রান্ত ধারণাটা চলে আসছে। আসলে যার অস্তিত্ব নেই, সেটার কথাই সমীক্ষায় আরো বেশি করে বলা হয়। একজন দায়িত্ববান পাঠক তিনিই যিনি উচ্চমানের লেখা ও সকলকে খাওয়ানোর লেখার তফাৎ উপলব্ধি করতে পারেন। আমি জানি, মধ্যস্থকারীরা একসময় নীরব পাঠকসমাজকে পথ দেখানোর কাজে ব্যাপৃত ছিলেন, সম্পাদনা- বিপণির একমাত্র উপযুক্ত দূত হিসেবে তাঁরা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। অন্যান্য উপচানো বিপনির মতোই এখানেও সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু সমস্যা আছে যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। কার্যত, এই সম্পাদনা- বিপণিই আদান-প্রদান তত্ত্বের ধারণার বাহক ( টেবিলের ভারসাম্যেই প্রতিফলিত হয়, প্রতিবারই বড় প্রকাশনা সংস্থাগুলো নবরূপে প্রকাশিত হওয়ার জন্য নিজেদের পূর্বতত্ত্বটি খারিজ করে দেয়।

কিন্তু, আপনারাই বলবেন, এই রোগ নির্ণয়টি বড় বেশি খোলাখুলি আক্রমণ, বলতে চাইছে-- পাঠকেরা নির্মীত হন এবং বারংবার জন্ম নেন, তাঁরা বুঝতে পারেন বানিজ্যবাদী জুলুমের সুস্পষ্ট ভার; আমার ভয় হচ্ছে ব্যাপারটা আদপেই এরকম নয়। উন্নত সংস্কৃতির যে কোনো ভোক্তাই স্বাধীনতা চেটেপুটে উপভোগ করে-- এই ধারণাটা আসলে মারাত্মক বিভ্রম, ভণ্ডামি
যেমন বইয়ের তাকের সামনে দাঁড়িয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটা হবে বাজার-নির্মিত, গণ সংস্কৃতির বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের তৈরি বাঁধাধরা জবাব।

নিজেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, যেটা বেশিরভাগ পাঠক খোঁজে, সেটা হলো নির্দিষ্ট কোনো বই কেনা। নিশ্চিতভাবেই এতে আর কোনো নান্দনিক আনন্দ নেই, নেই কোনো জ্ঞানারহণের অভিগমনও। আলঙ্কারিক অর্থে আমরা বলতে পারি, গড়পড়তা পাঠক "চিত্তবিনোদনের বদলে পাঠক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং (সময়োপযোগী তথ্যের) সাথে অবহিত হতে চায়; উপলব্ধির বদলে ঠাটবাট বাড়াতে চায়"। পরিশেষে, আমি আরও বলব, যে পর্যালোচনামূলক পাঠের হয়ে সওয়াল করলাম, এটা শুধু একজন মানুষের নির্দিষ্ট রেখাচিত্রের অংশমাত্র নয়, সম্পূর্ণ একজন মানুষের রেখাচিত্র যে স্বাধীন চিন্তামনস্ক হয়ে পর্যালোচনার কাজটিও সম্পাদন করবে, যার মাধ্যমে কবিতা, পরমোত্কর্ষে ঋদ্ধ ভাষা সন্দেহাতীতভাবে জামিনদার হিসেবে পরিচর্যা করবে।


    ফ্লাভিও ক্রেসেনসি কবি লেখক ও সম্পাদক।



No hay comentarios:

Publicar un comentario